আল-ফাজর (ভোর)
কসম ভোরবেলার।
কসম দশ রাতের।
কসম জোড় ও বিজোড়ের।
কসম রাতের, যখন তা বিদায় নেয়।
এর মধ্যে কি বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য কসম আছে?
তুমি কি দেখনি তোমার রব কিরূপ আচরণ করেছেন আদ জাতির সাথে?
ইরাম গোত্রের সাথে, যারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের অধিকারী?
যার সমতুল্য কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি।
আর সামূদ সম্প্রদায়, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছিল?
আর ফিরআউন, সেনাছাউনীর অধিপতি?
যারা সকল দেশে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
অতঃপর তারা সেখানে বিপর্যয় বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ফলে তোমার রব তাদের উপর আযাবের কশাঘাত মারলেন।
নিশ্চয় তোমার রব ঘাঁটিতেই।
আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন।
আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার উপর তার রিয্ককে সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে, ‘আমার রব আমাকে অপমানিত করেছেন’।
কখনো নয়, বরং তোমরা ইয়াতীমদের দয়া-অনুগ্রহ প্রদর্শন কর না।
আর তোমরা মিসকীনদের খাদ্যদানে পরষ্পরকে উৎসাহিত কর না।
আর তোমরা উত্তরাধিকারের সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে ভক্ষণ কর।
আর তোমরা ধন-সম্পদকে অতিশয় ভালবাস।
কখনো নয়, যখন যমীনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে পরিপূর্ণভাবে।
আর তোমার রব ও ফেরেশতাগণ উপস্থিত হবেন সারিবদ্ধভাবে।
আর সেদিন জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু সেই স্মরণ তার কী উপকারে আসবে?
সে বলবে, ‘হায়! যদি আমি কিছু আগে পাঠাতাম আমার এ জীবনের জন্য’!
অতঃপর সেদিন তাঁর আযাবের মত আযাব কেউ দিতে পারবে না।
আর কেউ তাঁর বাঁধার মত বাঁধতে পারবে না।
হে প্রশান্ত আত্মা!
তুমি ফিরে এসো তোমার রবের প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তোষভাজন হয়ে।
অতঃপর আমার বান্দাদের মধ্যে শামিল হয়ে যাও।
আর প্রবেশ কর আমার জান্নাতে।